বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। যদিও শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় তুলনামূলকভাবে হায়ার লেভেলে ইউরোর ট্রেড করা যেতে পারত—যদিও এটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল না—তবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির পেছনে অন্যান্য কারণ রয়েছে। যুক্তরাজ্যে গতকাল জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় সামান্য ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। সম্ভাবনা রয়েছে যে ইউরোর মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট পাউন্ডকেও সহায়তা করেছে, যেমনটি প্রায়শই দেখা যায়।
তবে, আমরা মনে করি যে এই দুটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৃহত্তর মৌলিক কারণগুলোর সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি পুরোপুরি যৌক্তিক। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনো চলমান, যদিও এটি বর্তমানে খুব দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে, কারণে এখনো সম্পূর্ণ হয়নি, যার কারণে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও কয়েক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার কমপক্ষে চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা মূলত 1.2502-1.2508 রেঞ্জের আশেপাশে কেন্দ্রীভূত ছিল। প্রাথমিকভাবে, মূল্য এই জোন থেকে দুবার বাউন্স করে; তবে, উভয় ক্ষেত্রেই মূল্য 1.2445 এর নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে, পাউন্ডের মূল্য এই এরিয়া ব্রেক করে যায় এবং পরে এটি উপরের দিক থেকে বাউন্স করে। চতুর্থ প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত মূল্য নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছায়। এই চারটি ট্রেডের মধ্যে প্রতিটিতে ভালো মুনাফার সম্ভাবনা ছিল, তবে সেগুলো যথাসময়ে ক্লোজ করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে; তবে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিলক্ষিত সামগ্রিক মুভমেন্ট এখনও দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা 1.1800 এর দিকে পাউন্ডের দরপতনের পূর্বাভাস দিচ্ছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। সুতরাং, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত।
শুক্রবার, আরও একবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে অনিশ্চিত পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। পাউন্ডের মূল্য গত দুই দিন ধরে কোনো শক্তিশালী কারণ ছাড়াই বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং আজ সহজেই দরপতন ঘটতে পারে। বর্তমানে, এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পেছনে খুব বেশি যৌক্তিক কারণ দেখা যাচ্ছে না।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর আশেপাশে ট্রেডিং করার সুযোগ তৈরি হতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798।
শুক্রবার, যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগের দেয়া উচিত।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।