মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা এবং নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সারাদিন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, যার ফলে ইউরো এবং ডলারের মূল্যের মুভমেন্ট সৃষ্টির জন্য শক্তিশালী চালিকাশক্তি অনুপস্থিত ছিল। সকালে, ZEW ইনস্টিটিউট থেকে জার্মানি এবং ইউরোজোনের ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। তবে, এই প্রতিবেদনগুলো গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন হিসাবে বিবেচিত হয় এবং সাধারণত মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।
ফলে, ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, তবে এটি এই সপ্তাহের শেষের দিকে সমাপ্ত হতে পারে। মূল বিষয় হল দৈনিক টাইমফ্রেমে কারেকশন, যা ঘন্টাভিত্তিক চার্টে পরিবর্তনশীল প্রবণতার একটি জটিল ক্রম হিসাবে প্রকাশ পাচ্ছে। পুরো এক মাস ধরে এই ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে, ইউরোর মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের কোনো কারণ নেই। এই পেয়ারের মূল্যের 1.0500 লেভেলে পৌঁছানোর বিষয়টি কিছুটা আশ্চর্যজনক।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। এই পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে 1.0433-1.0451 রেঞ্জের দিকে এগিয়ে গেছে, তবে দিনের শেষে রেঞ্জটি ব্রেকআউট করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি বুধবার সকালে এই পেয়ারের মূল্য একই রেঞ্জে মধ্যে ছিল, কারণ এই সপ্তাহে অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত কম ছিল।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, মধ্য-মেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, যদিও বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে ইউরোর মূল্য হ্রাস পাবে, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণগুলো ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারকে বেশি সহায়তা করছে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। এটি নির্দেশ করে যে ঘন্টাভিত্তিক চার্টে মূল নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে পরিবর্তনশীল প্রবণতা দেখা যেতে পারে।
বুধবার মার্কেটে আবারও অনিয়মিত, অযৌক্তিক এবং দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। দৈনিক টাইমফ্রেমে কারেকশনের প্রয়োজনীয়তার কারণে মার্কেটে দর বৃদ্ধি প্রবণতা দেখা যেতে পারে; তবে নিম্নমুখী কারেকশন এবং মুভমেন্টের সম্ভাবনাও রয়েছে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, পর্যবেক্ষণযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851।
বুধবার ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বিল্ডিং পারমিট এবং নতুন আবাসন নির্মাণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে মার্কেটে এগুলোর ফলাফলের ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। সন্ধ্যায়, FOMC-এর বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, যা গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।