বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার, সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত রয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো, ব্রিটিশ পাউন্ড কেনার জন্য ট্রেডারদের কাছে যথেষ্ট কারণ ছিল, কারণ যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করেছে। মঙ্গলবার এবং বুধবার, ট্রেডাররা নতুন করে পাউন্ড ক্রয়ের প্রতি খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। গত সপ্তাহে, যখন পাউন্ড কেনার জন্য তুলনামূলকভাবে কম কারণ ছিল, তখন ট্রেডাররা বেশ সক্রিয় ছিল। বর্তমানে মার্কেটে কিছুটা অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, এবং এই সপ্তাহে কার্যত কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে, এবং দৈনিক টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন চলমান রয়েছে। আজকের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই ও কোন গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও অনুষ্ঠিত হবে না।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বুধবার, 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.2613 লেভেলের কাছে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই সিগন্যাল অনুসরণ করে, মূল্য আনুমানিক 25-30 পিপস হ্রাস পায়, নতুন ট্রেডাররা সন্ধ্যায় ম্যানুয়ালি ট্রেড ক্লোজ করে লাভ করতে পারতেন।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে; তবে এই পেয়ারের মূল্যের সাম্প্রতিক মুভমেন্টগুলোকে এখনো দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি কারেকশন অংশ বলে মনে হচ্ছে। মধ্য-মেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে, আমরা পাউন্ডের মূল্য 1.1800 লেভেল দিকে হ্রাস পাওয়ার প্রত্যাশা করছি, কারণ এটি সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের শুধুমাত্র দৈনিক টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। টানা ছয় দিন ধরে উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত তিন দিন ধরে মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। তবে, স্বল্পমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অব্যাহত রয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা সাধারণত পাউন্ড ক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন প্রতিবেদনগুলোকে উপেক্ষা করছে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিং নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর ভিত্তিতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798।
বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, ফলে মার্কেটে অস্থিরতা বৃদ্ধির বা শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।